অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রংপুরে এক লাখ টাকা যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রী সুলতানা পারভীনকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী সোহেল রানার ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর পৌনে বারটায় রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১’র বিচারক মোস্তফা কামাল এই রায় প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কঠোর পুলিশী পাহারায় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালে রংপুর নগরীর ধাপ আটিয়াটারি এলাকার অহেদ আলীর ছেলে সোহেল রানা ওরফে শরিফুলের সঙ্গে একই এলাকার সুজামিয়ার মেয়ে সুলতানা পারভীনের প্রেমের সম্পর্ক থাকায় দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়। দু’বছরের সংসারে প্রায়শই স্বামী সোহেল রানা তার স্ত্রী সুলতানার কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
বাবা হতদরিদ্র হওয়ায় টাকা দিতে পাারবেনা জানালে তাকে প্রায়শই নির্যাতন করতেন। ২০১৭ সালের ২৮ জুন দিনের বেলা যৌতুকের দাবিতে আবারও মারধর করে স্বামী সোহেল রানা। ওই দিন গভীর রাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বাইরে নিয়ে এসে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী সুলতানা পারভীনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। পরে লাশ বাড়ির অদূরে একটি পাট ক্ষেতে ফেলে চলে যায়।
এ ঘটনায় নিহত সুলতানার বাবা সুজা মিয়া বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করলে সে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
তদন্ত শেষে এসআই মহিবুল ইসলাম আসামি সোহেল রানার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি সোহেল রানাকে দোষি সাব্যস্ত করে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী রফিক হাসনাইন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত রায় কার্যকরার দাবি জানান। অন্যদিকে, নিহত সুলতানা পারভীনের বাবা সুজা মিয়াও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
যত দ্রুত সম্ভব ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।
Leave a Reply